বদলে যাওয়া ফরম্যাটে আইপিএল শুরু ২৬ মার্চ
দলসংখ্যা বেড়েছে, বদলে যাচ্ছে আইপিএলের ফরম্যাটও। আগামী ২৬ মার্চ নতুন ফরম্যাটে শুরু হবে আইপিএলের ১৫তম আসর। ফাইনাল হবে ২৯ মে। মুম্বাই ও পুনের চারটি ভেন্যুতে হবে লিগ পর্বের ৭০টি ম্যাচ। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, ব্র্যাবোর্ন ও ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের সঙ্গে খেলা হবে পুনের এমসিএ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। ওয়াংখেড়ে ও ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আছে ২০টি করে ম্যাচ, অন্য দুই মাঠে ১৫টি করে। প্লে-অফের ভেন্যু জানানো হবে পরে।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত একবারই খেলেছে ১০টি দল। ২০১১ সালের সেই ফরম্যাটেই ফিরে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি। ১০টি দলকে দুটি ‘ভার্চ্যুয়াল’ গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। আইপিএলের শিরোপাসংখ্যা ও ফাইনাল ম্যাচ খেলার সংখ্যার ভিত্তিতে করা হয়েছে এ গ্রুপিং।
এর ভিত্তিতে আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ও ছয়বার ফাইনাল খেলা দল মুম্বাইকে রাখা হয়েছে ১ নম্বর হিসেবে, ‘এ’ গ্রুপে। এর ভিত্তিতে ২ নম্বর দল করা হয়েছে চেন্নাইকে (৪ বার চ্যাম্পিয়ন ও ৯টি ফাইনাল), তারা আছে ‘বি’ গ্রুপে।
ক্রমিক | গ্রুপ এ | ক্রমিক | গ্রুপ বি |
১ | মুম্বাই | ২ | চেন্নাই |
৩ | কলকাতা | ৪ | হায়দরাবাদ |
৫ | রাজস্থান | ৬ | বেঙ্গালুরু |
৭ | দিল্লি | ৮ | পাঞ্জাব |
৯ | লক্ষ্ণৌ | ১০ | গুজরাট |
নতুন ফরম্যাটে একই গ্রুপে থাকা দলগুলো একে অপরের সঙ্গে খেলবে দুটি করে ম্যাচ। অন্য গ্রুপে একই সারিতে থাকা দলের সঙ্গেও হবে দুটি ম্যাচ। তবে ভিন্ন গ্রুপের বাকি দলগুলোর সঙ্গে হবে একটি করে ম্যাচ। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি দলই গ্রুপ পর্বে খেলবে ১৪টি করে ম্যাচ।
যেমন ওপরের টেবিল অনুযায়ী, গ্রুপ ‘এ’-তে থাকা মুম্বাই গ্রুপের বাকি দল কলকাতা, রাজস্থান, দিল্লি ও লক্ষ্ণৌর সঙ্গে খেলবে দুটি করে ম্যাচ। একই সারিতে থাকা চেন্নাইয়ের সঙ্গেও দুটি ম্যাচ খেলবে তারা। তবে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব ও গুজরাটের সঙ্গে খেলবে একটি করে ম্যাচ। আগের মতোই প্লে-অফে চারটি ম্যাচের পর হবে ফাইনাল।
সর্বশেষ আসরে আইপিল ভারতে শুরু হয়েছিল ‘ক্যারাভান’ মডেলে। তবে একাধিক শহরে দলগুলোর যাতায়াতের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়। শেষ পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে স্থগিত করা হয়েছিল আইপিএল, পরে সেটি আয়োজন করা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইপিএল জানিয়েছে, এবার জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে একটি অঞ্চলেই হবে আইপিএল। আকাশপথে ভ্রমণ এড়াতে এটি করা হয়েছে, যেটিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের অন্যতম হুমকি মনে করা হয়।